898 898 8787

Fever Meaning in Bengali - কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার - 2025

Health

Fever Meaning in Bengali - কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার - 2025

author

Medically Reviewed By
Dr Divya Rohra

Written By Komal Daryani
on Aug 2, 2023

Last Edit Made By Komal Daryani
on Jan 1, 2025

share
https://myhealth-redcliffelabs.redcliffelabs.com/media/blogcard-images/3465/fc8e4335-3b37-4b71-9900-d21f774d16f0.jpg
share

আমাদের শ রীর সুস্থ থাকার পরেও প্রায়শই এমন কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই যা আমাদের সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে একটি হল জ্বর। জ্বর কি,কেন হয়, এবং জ্বর হলে কি করতে হবে সেই সম্পর্কে আমাদের একটা সাধারণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এই ব্লগে জ্বর সমস্ত তথ্য গুরুত্ব আলোচনা করা হবে। উপরন্তু আপনার স্বাস্থ্য নির্ধারণের জন্য আপনাকে কী পরীক্ষা করতে হবে এবং কখন সেগুলো নিতে হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

জ্বর কি?

মেটাবলিজমের সময় শরীরে যে প্রতিক্রিয়াগুলি ঘটে তা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। জ্বর এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের তাপমাত্রা একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয়। 

জ্বর শুধুমাত্র শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নয়; এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমের একটি অপরিহার্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একজন সুস্থ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা 98.6°F (37°C) হয়ে থাকে। যখন আমাদের শরীরে কোনো সংক্রমণ তখন এটি রাসায়নিকের মুক্তিকে ট্রিগার করে যা হাইপোথ্যালামাস (শরীরের থার্মোস্ট্যাট) তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায় , যার ফলে জ্বর হয়।

জ্বর কেন হয় এবং কি কি লক্ষন ?

জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী সংক্রমণ যা শরীরে বিদ্যমান তা বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণের মধ্যে কয়েকটি মাত্র। যখন ঘন ঘন সর্দি, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে তখন জ্বর হয়। তবে সবসময় যে সংক্রামক এ জ্বরের কারণ তা নয় :

  • প্রোটোজোয়াল সংক্রমণ বা ছত্রাক আপনাকে অসুস্থ বোধ করাতে পারে ।
  • যেকোনো ক্যান্সার বা ম্যালিগন্যান্সি কারণে জ্বর আসতে পারে।
  • টিকা, ফোড়া বা টিউমারের ক্ষেত্রে জ্বর হয় ।
  • আর্থ্রাইটিস, মূত্রনালীর সংক্রমণ, পিরিয়ড, হঠাৎ ভয় বা ট্রমা দ্বারা জ্বর আসতে পারে।
  • করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড এবং ম্যালেরিয়া সহ বেশ কয়েকটি রোগের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর।

লক্ষণ:

জ্বরের সময় শরীরের দুর্বল হয়ে পরে। জ্বর হলে শরীরের তাপ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং বিপাক থেকে শক্তি উৎপাদন কমে যায় এবং এর ফলস্বরূপ শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

  • কাঁপুনি দেয় 
  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় 
  • মাথা ব্যথা ,কোমর ব্যথা ,গা হাত পা ব্যথা করে 
  • খিদে কমে যায় 
  • চোখ লাল হয়ে যায় 

জ্বরের প্রকারভেদ 

অসুস্থতার উপর নির্ভর করে তাপমাত্রা পরিবর্তনের ধরণ পরিবর্তন হয়; জ্বরের পরিবর্তনের ধরন মাঝে মাঝে রোগ নির্ণয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে।

  • একটানা জ্বর

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ১০ সেলসিয়াস বেশি হয়ে না। একটি উদাহরণ হিসাবে, লোবার নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, মূত্রনালীর সংক্রমণ, ব্রুসেলোসিস এবং টাইফাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে একটানা জ্বর হতে পারে । টাইফয়েড জ্বরের সূচনা ধীরে ধীরে হয় এবং উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।

  • নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বর

উদাহরণস্বরূপ, ম্যালেরিয়া, সেপ্টিসেমিয়া (রক্তের সংক্রমণ) ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আগে তাপমাত্রা কিছুক্ষণের জন্য বেড়ে যায়। এই তার প্রকার:

কোটিডিয়ান জ্বরের ২৪ ঘন্টা সময়কাল, যা সাধারণত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায় ।

ম্যালেরিয়া টারশিয়ান জ্বর ৪৮ ঘন্টা স্থায়ী হয়, এটিও ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়।

কোয়াটার জ্বর যার সময়সীমা ৭২ ঘন্টা, এটি প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরিয়া জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হলে দেখা যায়।

  • স্বল্প বিরতিতে জ্বর

সারা দিন ধরে, শরীরের তাপমাত্রা প্রতিদিন 10 ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়। যেমনঃ infective endocarditis.

  • ফেব্রাইল নিউট্রোপেনিয়া

যখন শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, তখন এক ধরনের জ্বর হয় যা "ফেব্রাইল নিউট্রোপেনিয়া" নামে পরিচিত। এই ক্ষেত্রে, প্রতিরক্ষা নিউট্রোফিলের অভাব ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দ্রুত বিস্তারে সহায়তা করে। তাই এই রোগের দ্রুত চিকিৎসা করা দরকার। যে রোগীরা কেমোথেরাপি গ্রহণ করছেন, যা ইমিউন সিস্টেমকে দমন করে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

জ্বর নির্ণয় 

জ্বর শনাক্ত করা সহজ কারণ এর লক্ষণগুলি খুব স্পষ্ট। থার্মোমিটারে পারদের দাগ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে ধরে নেওয়া হয় রোগীর জ্বর আছে। যদিও রোগীকে বিছানায় আরামে শুয়ে থাকতে হবে, কারণ জ্বর মাপার এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। যেকোনো ধরনের শারীরিক কার্যকলাপের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবার, যেহেতু জ্বরকে একটি উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাই জ্বর কতটা গুরুতর তা বোঝার জন্য ডাক্তার নির্দেশ দিতে পারেন:

  • রক্ত ​​পরীক্ষা, 
  • প্রস্রাব পরীক্ষা
  • এক্স-রে 
  • মল পরীক্ষা 
  • গলার থুথু পরীক্ষা 
  • সিবিসি পরীক্ষা 

দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় 

  • ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্পঞ্জ বা নরম কাপড় দিয়ে কুঁচকি এবং বগলের মতো উচ্চ তাপমাত্রার জায়গা গুলো মুছে নিলে জ্বর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
  •  জ্বর হলে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
  • কমলার জুস এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফলের রস জ্বরের জন্য কার্যকর। ভিটামিন সি দ্বারা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়।
  • জ্বর হলে ভিতরে থাকুন এবং এটিকে সহজভাবে নিন। এতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। এই সময়ে শরীর সবচেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে, অতএব, সঠিকভাবে বিশ্রাম করতে হবে। যতটা পারেন ঘুমান।

উপসংহার 

জ্বর কোনো রোগ নয়। তবে জ্বর হলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন কারণ।

জ্বর হতে পারে এমন কোনও সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করুন। উপরে তালিকাভুক্ত জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার এটি উপশম করতে পারে।

Leave a comment

1 Comments

  • Rajib Mondal

    Oct 6, 2024 at 2:31 PM.

    Nice post

    • Myhealth Team

      Oct 8, 2024 at 5:33 AM.

      Thank you! We are glad you liked it. If you have any more questions or need further information, feel free to ask!

Consult Now

Share MyHealth Blog