898 898 8787

ম্যালেরিয়া ডায়েট: কী খাবেন এবং কী উপেক্ষা করবেন তা জানুন - MyHealth

Bengali

ম্যালেরিয়া ডায়েট: কী খাবেন এবং কী উপেক্ষা করবেন তা জানুন

author

Medically Reviewed By
Dr Divya Rohra

Written By Komal Daryani
on Oct 26, 2023

Last Edit Made By Komal Daryani
on Mar 15, 2024

share
Malaria Diet in bengali
share

প্লাজমোডিয়াম একটি পরজীবী যা ম্যালেরিয়া সৃষ্টি করে। এই অসুস্থতার লক্ষণগুলির মধ্যে সাধারণত জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা ছাড়াও মাথা ব্যথা, বমি এবং শ্বাসকষ্ট অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি মশার কামড়ে ছড়ায়।ম্যালেরিয়া বহনকারী অ্যানোফিলিস হল স্ত্রী মশা।

ম্যালেরিয়া কখনো হালকা ভাবে নেবেন না। এই সমস্যার মুখোমুখি হতে ম্যালেরিয়া ডায়েট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ব্লগে, আমরা ম্যালেরিয়া ডায়েট সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করব, যাতে আপনি আপনার স্বাস্থ্যকে ম্যালেরিয়া আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য পেতে পারেন। 

ম্যালেরিয়া কি ?

ম্যালেরিয়া হল প্লাজমোডিয়াম নামক পরজীবী দ্বারা সংঘটিত একটি মারাত্মক মশাবাহিত রোগ। অ্যানোফিলিস মশার একটি কামড় মানুষের রোগ ছড়াতে যথেষ্ট। একজন ব্যক্তির রক্ত ​​​​প্রবাহে প্রবেশ করার পর, পরজীবী শরীরে লোহিত রক্তকণিকাকে আক্রমণ এবং ধ্বংস করার আগে যকৃতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ম্যালেরিয়ার লক্ষণ গুলো দেখা দেয়।

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই একমাত্র জানা যায় যে ম্যালেরিয়া হয়েছে কিনা। ফ্যালসিপেরাম আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যদি প্রথম দিকে নির্ণয় করা হয়, তবে ম্যালেরিয়া নিঃসন্দেহে চিকিৎসা করা সহজ। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল প্রতিরোধ।

ম্যালেরিয়া ডায়েটের গুরুত্ব

 ম্যালেরিয়া ডায়েট সম্পর্কিত পুরো বুকলেট লেখা হতে পারে, কিন্তু এই ব্লগে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে এই বিষয়ে চর্চা করব। ম্যালেরিয়া ডায়েটের গুরুত্ব নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে অবস্থিত:

  •  প্রতিরোধশক্তি উন্নতি 

ম্যালেরিয়া ডায়েট প্রতিরোধ শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। খাবারের মধ্যে সমৃদ্ধ ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন উপস্থিত থাকা দরকার।

  •  শরীরে শক্তিশালী হওয়া 

ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর শক্তিশালী থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টির উপর নির্ভর করে, আপনি ম্যালেরিয়া থেকে স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারেন।

  •  পেশীর উপশম 

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া জনিত পেশী ব্যথা এবং দুর্বলতা উপশম করা যায়।

  • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল 

ম্যালেরিয়ার ওষুধ গুলো হজমের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই সঠিক ডায়েটের দরকার।যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির হজম শক্তি বৃদ্ধি করা যায়।

  • অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ

ম্যালেরিয়া লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংসের কারণে রক্তাল্পতা হতে পারে। আয়রন যুক্ত খাবার যেমন শাক, বাদাম, বীজ এবং মাংস রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ম্যালেরিয়া ডায়েট আপনার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারেন, যাতে আপনি ম্যালেরিয়া আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন।

 ম্যালেরিয়া ডায়েটে কি খাবেন

 ম্যালেরিয়া ডায়েট পরিস্থিতি এবং আপনার স্বাস্থ্য স্থিতির উপর নির্ভর করে। এখানে কিছু খাবার সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া হল:

  • পুষ্টিকর খাবার

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যা হজম করা সহজ সেরকম খাদ্য গ্রহন করা প্রয়োজন। লেবুর রস, গ্লুকোজ জল এবং আখের রসের মতো বেশি তরল পান করুন।

  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

শরীরের শক্তি প্রোটিন দ্বারা সরবরাহ করা হয়। এই অবস্থায় আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডাল, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, দই জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত সবজি খান।

  • ভেষজ গুণসম্পন্ন মশলা 

ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে জওয়ানের জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। মেথির সাথে জল খাওয়াও পেট কে প্রশমিত করে। হলুদ ব্যবহার করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া ভালো।

  • ফল এবং সবজি

ফল এবং সবজির মধ্যে অনেক গুণাগুণ উপস্থিত থাকে, যা আপনার শরীরে প্রতিরোধশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিরোধ শক্তি উন্নত করতে আপেল, কলা, গাজর, পেঁপে, আম, এবং অন্যান্য ফল এবং সবজি খাবার ভাল।

  •  বাদাম

বাদামে উচ্চ শক্তির উপাদান রয়েছে, যা আপনার শরীরকে শক্তিশালী করে। যদি এইভাবে খেতে অসুবিধা হয় তবে আপনি এটি দুধ বা সালাদ বা কোনো খাবারের সাথে খেতে পারেন । ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সময় বাদাম খাওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে শক্তি জোগায়।

  • জলের পর্যাপ্ত পরিমাণ

উচ্চ তাপমাত্রায় প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত।

  • ম্যালেরিয়া ডায়েটে উপেক্ষা করবেন কী

ম্যালেরিয়া ডায়েটে কিছু খাবার এবং প্রথমে নজরদারি করা উচিত। এই খাবারগুলো আপনার আক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে: 

  • অতিরিক্ত মিষ্টি ও চিনি

অতিরিক্ত মিষ্টি ও চিনি আপনার আক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

  •  অতিরিক্ত ক্যাফেইন

কফি আপনার নিদ্রা এবং শারীরিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত করতে পারে তাই আপনি অতিরিক্ত ক্যাফেইন খাবার উপেক্ষা করতে পারেন।

  •  অতিরিক্ত মাখন এবং তেল

অতিরিক্ত মাখন এবং তেল আপনার শরীরে বৃদ্ধি হওয়া জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে,তাই এই খাবার গুলো সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন।

  • মদ্যপান 

আলকোহল আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে এবং ম্যালেরিয়া আক্রান্ত থাকার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।

  •  ব্রয়লার মাংস

ব্রয়ালার প্রস্তুত মাংসে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক যেমন প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন থাকতে পারে, যা আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

  • অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার

অতিরিক্ত মসলা, খারা এবং তেলে ভাজা খাবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপেক্ষা করা উচিত। 

  • প্যাকেটজাত খাবার এবং স্ন্যাক্স

বেশিরভাগ প্যাকেজড খাবার এবং স্ন্যাক্স অতিরিক্ত ক্যালরি এবং কোলেস্টেরল বারিয়ে দিতে পারে, যা আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

উপসংহার 

ম্যালেরিয়া রোগে মানুষের জীবনের ঝুঁকি থাকে।যা সঠিক ডায়েট এবং পুষ্টির মাধ্যমে কম করা যায়। সমৃদ্ধ প্রোটিন, ফল, সবজি, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল আপনার শরীরে প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়।আপনি যত্নশীল ভাবে খাবার খান এবং ম্যালেরিয়া আক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন এবং সমাজ কে ম্যালেরিয়া মুক্ত করতে সাহায্য করুন।

Leave a comment

Consult Now

Share MyHealth Blog